অন্ধকার
লেখারা
যেমন হলে মা বলে ডাকে শিশু
পুবের হাওয়া
আসে জানলার কাছে
আমার দক্ষিণ
হাত, বাঁ দিক ছেড়েছে সেই কবে
তবু আজও
বিকেল রোদে ধানের গন্ধ ভাসে!
আলপথ ছুটে
যায় শহরের দিকে
ট্রেনের
পাশে পাশে না চেনা কত কেউ
হাত নেড়ে
যায়…
আমি ডুবে
থাকি অচেনা পানকৌড়ির মতো
আসলে কোন
দেশ আজ আর নিজের নয়!
যখন খিদেতে
জ্বলে ওঠি, চলে যাই
নিভৃত আশ্রয়…
লেখারা
যেমন হলে ঘুম আসে শান্তিতে
উপহার রেখে
যায় সোনালি ফড়িং
সেই ঘাসফুলে
শিশিরের কণা
আমার হেমন্ত
সুখ! তবু যেন কলমে টাটকা
রক্ত …আমি আর শব্দরা পালিয়ে বেড়াই
ক্রমশ আলো
থেকে…!
খিদে
যন্ত্রণার
গভীরে জন্ম নিচ্ছে চাঁদ
আমি তার
লালা মুছে রাখি
পুরোনো
হয়ে গেছে সেসব অক্ষর
ঘুন ধরে…!
এ শহর খেতে
চায়। দৌড়বাজ শিকারীর দল
ছুটে যাচ্ছে
খটখটে জঙ্গলে…
আর আমরা
পুড়ে যাচ্ছি চিতাকাঠ
!
লেখারা
কেমন হলে ঘুম আসে…
মায়ের শরীর ? সন্তানের হাসি ?
অথচ ভেতরে
সেই চাঁদ… ধানক্ষেতের
মাঝে জ্বলছে
দাউদাউ…
ফিরে দেখে
না কেউ পোড়ামুখ!
এ শরীর
জানে জলজ মাছের ঘুম!
আগুন আর
ঘি….
কিভাবে
গিলে নিতে পারে খিদে পেলে…
এই তো ছায়াপথ
এই তো ছায়া
পথ
‘কার মুখ ঢেকে রাখো’?
সে তো অবাধ্য
হাওয়া…
উঠোনের
রোদে গা ভেজায় দুধের বাছুর
মা চেটে
দেয় সব ঘা!
তুমি যাকে
বৃষ্টি বলেছিলে আমি তাকে মায়া।
বৈশাখে রোদ
বাড়ে। জপ মালা পেষে ছোটপিসি
তার ঘাম
বাবার গাল বেয়ে গরুর বাঁটের কাছে...
ভেজা কালো
মাটি। আমাদের দেখা হয় আবার
কোন এক চৈত্র
শেষে। চড়কের ভিক্ষা নিতে
আসা রঙমাখা
মুখ...চিনতে ভুল হয় না এতটুকু!
আবার জন্মাব
দেখো, সাদা বক
লুচি তরকারি
টিফিন দেবে মা…
যে রঙ তামাটে
হয়ে গেছে বৈশাখের কবিতার মতো
আমি তাতে
ঘষে দেব মুসুরডাল বাটা!
অনবদ্য সৃষ্টি
ReplyDelete