বর্তমান
আজ রাস্তায়
বেরিয়েই শুনলাম,
ঘোড়া
ডিম পেড়েছে।
খালি
এই এক কথা।দোকানে,বাজারে
অফিসে-পার্কে।অবসরের আড্ডায়।
নাহ!ঘোড়া ডিম পেড়েছে।
কোথাকার
ঘোড়া কেউ বলেনি।
ডিমই বা
কার?ঘোড়ারই তো?
তবু সবাই
সেই ডিমের খবরে
ডুবে
আছে।ডুবেই আছে।
আমি যেখানেই
তাকাই,
স্রেফ
চোখে ভাসে একটি রুগ্ন ঘোড়া।
যার বেঁচে
থাকার চাইতে
ডিমের খবরে
আমাদের আগ্রহ!
অসম্পূর্ণ
যে গল্পটা
লিখতে লিখতে
কলম
গড়িয়ে গেলো;হাত থেকে কার্পেটে।
ঘরময়
ছিটোলো কলঙ্ক।
একজোড়া
পা দরজার ওপাশে,
ঠিক
চৌকাঠে আটকে গেলো।
আমি
অপেক্ষায় বসে থাকলাম।
সারা
বিকেল।সন্ধ্যে।
কেউ
চৌকাঠ থেকেই ফিরে গেলো।
বলে
গেলো না।
ঘুমন্ত ঘোড়সওয়ার
আশৈশব যতো
বেদনা নিয়ে উঠোনে
ধান শুকোতে
দেয় মা,
তার
এক ছটাকও বাবা টের পায় না।
বিনিদ্র
রাতের যতো দীর্ঘশ্বাস নিয়ে
বাবা রোজ
হাসতে চায়,
মা
তার অধিকাংশ ছিঁড়ে ফেলে।
অথচ
দু’জনেই জানে,বিকেল নামলে উঠোনের ছায়া ঘরে ঢুকে যায়।
No comments:
Post a Comment