Thursday, May 30, 2019

জাতিস্মর-এর কবিতা





ফসল

যেন মাঠ জুড়ে
সারি সারি জোনাকির
                    বীতরাগ আঁকা
কী অপরাধ!
অপরাধ ধান বুনে চলে
নিবিড়ের দিকে। আলোহীন ----
যুবতী সন্ধ্যার বুক থেকে
খুলে পড়ে চাঁদের ওড়না
প্রলুব্ধ সে রাতশিকারী
জ্যোৎস্না ভেবে মরে...

কবিতা যেরকম...

১.
কেন এরকম মায়া ফুটে
ওঠে
প্রান্তরে
         সূর্যরশ্মিগুচ্ছ, তুমি কার?
সে প্রশ্নে
কানায় কানায় ভরে উঠছে
অন্ধকার আসবাবপত্রের
                            দূরূহ কোণ
পাশের বাড়ির
চিলতে রোদ এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে
                                   অদৃশ্য আয়না ---
সে আয়নায় মুখ রাখো
নির্বাক শরীর
মায়ারঙ, মায়াস্পর্শ
আলোকবর্তিকা বয়ে নিয়ে কবিতা হও আজ...
২.
প্রচ্ছন্ন ঘুমের মধ্যে হাঁটে অক্ষর ---
কুড়িয়েছে সমকালীন ব্যথার ভার কাম ক্রোধ জরা
পদতলে পড়ে থাকা
                         অজস্র শায়িত
                         কবরের পাশে
ফুল হয়ে
ঝরে থাকে রাত্রিকালীন কবিতার আয়ু...

পতন
চন্দন পিঁড়িতে আঙুল ছোঁয়াও রাত
অনামিকায় আকাশে আঁকো ঐ
সূর্যতিলক
পুনরুক্তির মত ভোর
জড়ো হয়েছে দু-ধারের শটিবনে
                               পাশ কাটিয়ে
                               কুড়িয়ে নাও
এতকিছু!
যতকিছু...
মান-সম্মান
প'ড়ে!
কুড়িয়ে নাও, কুড়িয়ে নাও, কুড়িয়ে নাও
যতক্ষণ না একটা
রংচটা ভাঙা চাঁদ উঠে আসে কোঁচড়ে...

ভ্রমণ

শরীর বিমূর্ত ছবি অতএব যতটা রঙিন
ভাবতে পেরে আঁকা প্রয়োজন তার আলোছায়াতল
এ যেন কিছুটা তারই প্রতিবিম্ব, আয়নায় বিলীন
হয়। পাশাপাশি প’ড়ে থাকে ভ্রান্ত চেতনা। বিরল...

যেমন দূরের কোনো সাঁকো জুড়ে পারাপার জাগে
শরীর তেমনই যেন কবেকার ভ্রমণ আখ্যান
তাকে এঁকে চলে অবিরাম যে ঐ নিপুণ সোহাগে
সে চিত্রকরের মন একাধারে জ্ঞান ও বিজ্ঞান!
এ বড় দুরূহ সংজ্ঞা আর প্রতিপাদ্য যে শরীর
এ উদাহরণ তার ঢঙে আঁকা দৃশ্যপট, অকিঞ্চিৎ-
যেন কোনো মূর্ত ছবি মোহময় অথচ নিবিড়
যেমন মোনালিসার হাসিমুখ আঁকেন দ্য ভিঞ্চি…
শরীর রূপক চিত্র, ভ্রমণে তা আলোছায়ালীন
চিত্রকর তার বুকে ডুবে যায় দিন প্রতিদিন।

যতদূর ছুঁয়ে থাকা

এ মনে তুলনাহীন
স্পর্শ ধরে রাখি। তোমাকে নিয়তি ভেবে
                          যতদূর ছুঁয়ে থাকা যায় ---
ভিতরে গহীন আঁকি
আকাশের গায়ে ছুঁড়ে দিই প্রশ্ন টিকা...
নিজেকে উজাড় ক'রে, পদতলে ছায়া ধ'রে
                         এত খানি রোদরং কীভাবে লাগায়?

সংগীত
বিকেল পেরোনো রোদ এসে পড়ে
তোমার গানের জানলা দিয়ে। তুমি কী অসাধ্য
                           সুর রেখে আসো প্রতি আরোহণে।        
                           অবরোহনের গায়ে সন্ধ্যে নামে...
তখনও কি মনে হত
এই গানে স্রোত আছে খুব। ভালোবাসাবাসি
যা কিছু পুরোনো ভেসে যাবে সব
                                         কখনো ঝিলামে!

1 comment:

  1. ভাই❤❤
    প্রাউড প্রাউড🌻

    ReplyDelete

একঝলকে

ভেঙে যাওয়ার পরে- একটি উপন্যাসের পাঠপ্রতিক্রিয়া- রিমি মুৎসুদ্দি

  ‘মৃত্যুতে শোক থাকে কিন্তু সামাজিক অপযশ থাকে না । ’ ‘ মৃত্যু ’ ‘ শোক ’ ‘ অপযশ ’- একটা গোটা উপন্যাস থেকে এই তিনটে শব্দই কেন...

পছন্দের ক্রম