Friday, May 31, 2019

ট্যুরিস্ট - চৈতালী চট্টোপাধ্যায়


আমি ভ্রমণে থাকি।তাই ভ্রমণই লিখে চলি সারাক্ষণ। একবার এক খবরকাগজে থেকে ওদের বেড়ানো-পাতার জন্য লেখা চাওয়া হয়েছিল। আমি খুব সিরিয়াসলি বলেছিলাম, একদিনের ডায়েরি-এন্ট্রি তুলে দি'?যে মেয়েটি প্রস্তাব আনে,সে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়েছিল আমার দিকে। একসময়,তখনও কেষ্টপুরে উড়ালপুল বসেনি, কাজের কারণে রোজ আস্ত একটা ভিআইপি রোড পার হতাম আমি।কত গাছ,জারুল,রেন্ট্রি, ময়লা-পড়া খাল,হাত ধরে চলা ছেলেটি, মেয়েটি সব দেখতে দেখতে যেতাম। ঋতু বদলাত, ক্যালেন্ডারের পাতার মতো ফুলও বদলে যেত।এই মেন্টাল এক্সকারশান পার হয়ে তবে অফিস পৌঁছে খুশমেজাজে বিজ্ঞাপনের লেখা ধরতে পারতাম।মনে গেঁথে রেখেছিলাম কোথায় কোথায় পলাশফুলের গাছ। একটু বেশি তাড়াতাড়ি শীতের আমেজসমেত সরস্বতীপুজো চলে এলে ফুল ফুটত না তখনও। তারপর একদিন ছোট্ট একটু আগুনের মতো... আমার ভ্রমণকাহিনীর পাতায় বসন্তের গন্ধ উঠত, আজ প্রথম পলাশ দেখলাম।
জীবন আমার ভ্রমণকাহিনীকে কতভাবেই না সম্পন্ন করে! আলগোছে চা-দোকান এঁকে দেয় একটা। ইস্টার্ন বাইপাসে।সরু-সরু কানাগলির রেখা টানে। উত্তর কোলকাতায়।কাশীমিত্রঘাটে ঝুলে-থাকা গাছে মা কালীর মুখ টাঙিয়ে দেয়।সদরস্ট্রিটের প্রহেলিকাময় সিমেন্টের ধাপিতে আছড়ে নিয়ে ফেলে।
বারবার পানপাতায় মুখ ঢাকি আর চুল্লিতে উঠি।বারবার অস্ফূটে শোনাই নিজেকে,it's all in the trip

No comments:

Post a Comment

একঝলকে

ভেঙে যাওয়ার পরে- একটি উপন্যাসের পাঠপ্রতিক্রিয়া- রিমি মুৎসুদ্দি

  ‘মৃত্যুতে শোক থাকে কিন্তু সামাজিক অপযশ থাকে না । ’ ‘ মৃত্যু ’ ‘ শোক ’ ‘ অপযশ ’- একটা গোটা উপন্যাস থেকে এই তিনটে শব্দই কেন...

পছন্দের ক্রম