(১)
একটি
হতাশার কবিতা
অপচয় করেছ অনেক মেধাবী সময়
যে নদীর স্বচ্ছ জলে তোমার মুখ দেখতে
সেখানে আজ পলি পড়েছে
ফুটে ওঠার আগেই
পাখিরা শেষ করে দিচ্ছে মোচা
আর তুমি ভাবছ
সময় পেরিয়ে যাবে স্বতঃস্ফূর্ত
সেই ১৯৯৮ এ একবার
পাথরটাকে, যে পাড়ার নালাকে বন্দি বানিয়েছিল,
সরাবার চেষ্টা হয়েছিল, দ্যাখো
এখন কীরকম থিতু
ঘড়ির কাঁটা, যেমন ঘোরে, ঘুরে চলেছে
অ্যালার্মে কিস্যু হবে না
(২)
নির্বীজ
সব শব্দ হারিয়ে যায়।
সেই যে গত আশ্বিনে
তোমার বাড়ির ছাদে
কিছু শব্দ রেখে এলাম
তারা সব কোথায় গেল?
অথচ কথা ছিল
সামলে রাখার
কাক-পক্ষীও টের পাবে না...
তাহলে কি কাকেরাই
ঠোঁটে করে ওদের কোথাও ফেলে এলো?
নাকি নতুন পথের সন্ধানে
কোথাও বেরিয়ে পড়ল?
এদিকে সময় উথাল পাথাল
জানলায় খিল তোলা যাচ্ছে না
ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে ঘর
উঠোন
আর
আমি শব্দের অপেক্ষায়
অনন্ত শয্যায়...
(৩)
বোবাদের জগতে
মুহূর্তদের শব্দ দিতে পারি না
ফ্যালফ্যাল চেয়ে থাকি,
কতরকম ইঙ্গিত ভেসে ভেসে আসে
মুহূর্তে উবে যায়…
কোন বদলই আর কম্পন আনে না,
অজাতশত্রু দিন
বয়ে যায় প্রতিদিন
মন্দ নয় বোবাদের পৃথিবী।
(৪)
আরেকটি
স্বপ্নের কবিতা
পরের জন্মে লটারি বিক্রেতা হব
হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালার মত
আমার আওয়াজে
ছুটে ছুটে আসবে
যুবক বুড়ো সকলে
পাড়ার সবচেয়ে নাক উঁচু কাকু
কিংবা সন্দেহ প্রবন রিটার্য়াড দাদু
ব্যর্থ প্রেমিক, বন্ধ কারখানার শ্রমিক
সবাই
বেছে বেছে নেবে হরেকরকম সিরিজ
ভায়েরা বোনেরা
কোন চিন্তা নেই, এজন্মে হল না কিস্যু
পরের জন্মে সবার জন্য,
প্লেটে প্লেটে লটারি নয়,
স্বপ্ন তুলে দেব...
বক্তব্যের গভীরতা আছে।ভালো কবিতা হয়ে ওঠার প্রায় সব গুণ থাকার কারণে পাঠ করতে বেশ লাগে।
ReplyDeleteভালো কবিতা।ভালো লাগলো।শুভেচ্ছা।
ReplyDelete