এ ঝুলন চাঁদ
আগাছায়
ঢাকা আলপথের মতন বিষণ্ণ অথচ মধুর কিছু স্বরলিপি,
শ্রাবণ
মেঘের সংসারে শুনিয়েছিল বিরহী পদাবলী।
শন শন
হাওয়ার উদ্দাম ঝংকারে চর্যাপদের বিস্মৃত সুর,
পরিত্যক্ত
চাতালের উদাসী আঁচলে গেঁথেছিল বনফুলের মালা।
কাঙাল
কদমের তখনও অজানা, অনুভূতিহীন -
শ্বেতপত্রে
স্বাক্ষরিত রাই-কানাইয়ের স্থিতধী জীবন।
আকাশ
নীল যমুনার উজান জলরাশির ফেনিল সৌরভে;
নেই
কোন নীরব সমর্পণের স্বপ্ন সম্ভাষণ,
সেই
ধূপছায়া আঁকা চেনা পথের রাঙা পদচিহ্ন,
হাহাকার
বাতাসের মত -
আশ্রয়
খোঁজে খানা-খন্দের কৃষ্ণগহ্বরে।
শুধু
একলা পড়ে থাকা বনফুলের মালাটি অভিমানী মাটির মতন,
প্রতীক্ষার ধারাপাতে স্পর্শযোগ্য হয়ে ওঠে –
চন্দনমথিত এক মেঘ ভাঙা ঝুলন চাঁদ।
No comments:
Post a Comment