Thursday, May 30, 2019

সুতনু হালদার-এর কবিতা







 (অ)নিষিদ্ধ

উচ্ছ্বাসপ্রিয় দ্রবণটা ক্ষুধার্ত মেঘের মতো সম্পৃক্ত; কিন্তু ভালোবাসার ভূমিকা অক্ষিকোটরের অমীমাংসিত দ্রাব্যতার ক্লিভেজে সাতরঙা বর্ণালী...        
নদীর স্রোত হয়ে ওঠা দুর্বার কয়েকটা মুহূর্ত আজকে যখন আবার দেখি তখন তাদের ক্ষতে জ্যোৎস্না মালিশ করতে গিয়ে নিজেই হয়ত দ্রাবক হয়ে যাই

নিয়ন আলোতে ভিজে থাকা দরজাটা নিজের হাতে যখন লাগাচ্ছিলাম, কোথাও কোনো কোশ প্রাচীরের বৈঠকে ঠিক তখনই -- চুমুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল! কিন্তু, আমার অধিকার বহির্ভূত ব্যারিকেডগুলো তোমার নাভিদেশ বরাবর গভীর চুম্বন আঁকতে উদ্যত

প্রত্যাশার স্কেলিটন জুড়ে ঝড়
ঝড়ের আলিঙ্গনে চুমু...

বিচ্ছুরিত প্রতিসরাঙ্ক তবুও আটকে থাকা ভালোবাসার কাঁচিতে ধার দিতে দিতে  কোয়ান্টামতত্ত্বে মেতে ওঠে; প্রেমিকার উত্তপ্ত ঠোঁটের আবর্ত কোণে ফুটে ওঠা উচ্ছ্বাস ক্যালকুলাসগামিতা হাইপোথিসিসে ভরপুর! লোকাল ট্রেনের জানলা ভেদ করে তোমার মিষ্টি হাতছানিতে যেকোনো স্থিতিজাড্যেও জংলি শিৎকার তোলে

ল্যাপটপের কনফিগারেশন চেঞ্জ হ'লে ভালোবাসার ধ্রুপদী সত্তা পারমানবিক সংখ্যার যৌনতা চায়

প্ল্যাটফর্ম চেঞ্জ করে তোমার সঙ্গে নিউক্লিয় এক্কাদোক্কা... 

কয়েকটা তেজস্ক্রিয় বিস্ফোরণের জৈব রসায়নে সম্পৃক্ত ভর সংখ্যাগুলোতে সিঁদুর দানের প্রথা নিষ্প্রয়োজন




   রহস্য
                   


তারপর থেকেই একএক করে আমি প্রতিটা মেঘের সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিলাম, প্রতিটা মেঘ তখন ভাসছে ওদের আকাশে, সেই আকাশ তখনো আমার ছিল না; আমি আর আকাশ ছিলাম বিপ্রতীপ

কিন্তু প্রবহমানতার আবদার ছিল ভয়াবহ, ভয়ঙ্কর ছিল বহুত্ববাদের নৈমিত্তিক চাহিদাগুলো! যাবতীয় বিপ্রতীপতা একদিন বিচূর্ণ হ'ল, সত্তার নিক্তিতে টানাপোড়েন অস্তিত্বের প্রশ্নে বড্ড অনড়

আমি আর আকাশ বন্ধু হয়ে গেলাম! যে অভিযোজন মানুষ করে এসেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী, সেই অভিযোজন খিদের মতো গ্রোগ্রাসে ছুটে এলো প্রতিটি সিজিন্যাল ফ্লাওয়ারের ক্লিভেজ চুরমার করে; বন্ধুত্বের অমোঘ ব্যঞ্জনার আড়ালে শ্রমিকের ঘাম লেগে থাকে...

কয়েকটা বন্ধনীচিহ্ন প্রশ্নবোধক হয়ে বারবার খোঁচা দ্যায়, কয়েকটা তর্জনী নিজের স্পর্ধা আর নিজের এক্তিয়ার ভুলে যেতে যেতে একদিন আকাশ হয়ে যায়

এই আকাশ আবার আমার অচেনা কুঠুরিতে কোন অষ্টাদশীর মতো রহস্যময়! জীবনে অনেকগুলো অদৃশ্য প্লাটফর্ম থাকে বলে ঋতুবৈচিত্র্যে  মানুষ দিশেহারা হয়ে চাঁদের গলনাঙ্ক  চেখে দেখতে দেখতে পরের প্রজন্মের জন্য পোড়া মাংসের গন্ধ রেখে যায়




প্রতিবাদী


চলো,  এবার একটু কেঁদেকেটে নিই
তারপর ঘুমাতে যাব
ঘুমিয়ে পড়লেই সেই নতুন একটা নাতিশীতোষ্ণ অন্ধকার, আমাকে তোমার মতো মেঘ খুঁজতে শেখায়

চলো, ঘুমিয়ে পড়ি, ঘুমাতে ঘুমাতেই না হয় নদীর মতো কেঁদে উঠব...

ম্যাজেন্টা রংগুলো অভিমান বোঝে না!

যে কোন সকাল সাদা পাতার নিরাপত্তার জামিনদার হতে পারে যদি সেই সকালের উষ্ণতা বরাবর কৌণিক বিন্দুগুলো অনুসারি বাষ্পমোচনের সাক্ষী হবে বলে অক্ষরেখায় ভালোবাসা আঁকতে থাকে...

অক্ষরের বিরাগভাজন হলে শব্দরা প্রতিবাদী হয়


No comments:

Post a Comment

একঝলকে

ভেঙে যাওয়ার পরে- একটি উপন্যাসের পাঠপ্রতিক্রিয়া- রিমি মুৎসুদ্দি

  ‘মৃত্যুতে শোক থাকে কিন্তু সামাজিক অপযশ থাকে না । ’ ‘ মৃত্যু ’ ‘ শোক ’ ‘ অপযশ ’- একটা গোটা উপন্যাস থেকে এই তিনটে শব্দই কেন...

পছন্দের ক্রম