নিজেকে হত্যা
করতে
নিজেকে হত্যা
করতে হাত পেতে চাইলাম জতুগৃহ তৈরির পদ্ধতি
অন্ধকারেও এক
আলো থেকে আলো জ্বলে নিধুবাবুর টপ্পায়
রাস্তাকে
কৃষ্ণপক্ষ শুক্লপক্ষ নাম দিয়ে ছাতিম গন্ধের স্পর্শ মাপি
কিনারার নামে
সমস্ত ক্লীভেজ তালাস করে দুপুরের যতি চিহ্ন ঘাম
চড়াইয়ের
মজাগুলো চাঁদের কাছাকাছি ঢাল বেয়ে নামে খাদে
জল ভেঙে ভেঙে
একটাই পথ, কপট রাতের গুহায় অস্থির
কত নালার
পদ্মপাতায় লিখেছি মৌসুমি মেঘের আঙুল স্বাদ
অথচ,জন্মের পরে ভাগাভাগিতে একাকার প্রিয় দ্রৌপদি শরীর--
দাঁড়িয়ে আছি
না জেনেই
ভেঙো না আগুন, কত সময় দাঁড়িয়ে আছি না জেনেই
কবুতরের পায়ে
বেঁধে দিলে কাদা রাস্তা, বটগাছের নিচে
টায়ার সারানো
ছেলেটির বুকে হাওয়া মেসিনের ঝড়
দোলের
পিচকারির মতো ছেটানো ভাদ্রে ঘামাচি কামড়ায়
মুখস্ত কথাদের
বাইরে এসে আকাশের বন্দনায় মন্ত্র খুঁজি
আজ কী ফুল
পরেছিলে ইভ, ঠোঁটের আমন্ত্রনে হরপ্পা
জেগে উঠতে
পারিনি স্নানাগারের ধাপ ধাপ শীতল হাওয়ায়
দূরত্বের
কাহিনীতে ঘুড়ি ওড়ে নীল চড়াইয়ের আহ্নিক গতি নিয়ে-
আত্মারামের
নৌকা
নদী ও আকাশের
নীল শূন্যতায় আঁধারের নিপূন আঙুল
স্নান সারে
গাঙ শালিক, ছায়ার সাথে পরিচয় বাড়ে
প্রতিদিন-
অনির্দেশ হলুদ আচ্ছন্ন দক্ষিণের খোলা চরে ওড়ে বাবলা ফুল
উঁকি দেয়া
বাঁকের নীরব মায়ায় অচেনা পথ, ক্রমশ শীতার্ত
তীর ঘেঁসে
হাঁটার সময় পেরিয়ে এসেছি আত্মারামের সাদা নৌকা
অসংখ্য
বিশ্বাসের কম্পমান ঢেউ ছোঁয়ায় ধ্যানস্থ হাসি আর চোখ
সাঁকোর কোনো
পা-দানি থাকে না, বাতাসের কারনে ছুটে আসে
কিসমিস কাঁটার
কুহক, অপেক্ষা দাঁড়িয়ে থাকে একাকী
উলঙ্গ-
সেভাবে
রোদ্দুরের কিছু বলার নেই
সেভাবে
রোদ্দুরের কিছু বলার নেই, কেঁপে ওঠা নদীর বুকে ভাসে
ময়ূর পালক, যদিও সমস্ত জঙ্গল চিরতে পারে সফল স্রোত
সেই জলে বুক
ধুয়ে স্নান করে বউ কথা কওয়ের পাঠক্রম
তারপর
পৃথিবীটা ঘুরতে ঘুরতে আটকে যায় বিস্ময় চিহ্নে
এরপর যা বাকি
প্রভাতকালীন ঘন্টা বাজে মন্দিরের ছায়ায়
নিভে আসে
জ্বলমান তারা, মেপে নেয় পাখির চোখ এক বাঁও দু
বাঁও
দূরের
বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে একটি রাংতা জড়ানো পদ্মলোচন খাম
তেষ্টা খুঁড়তে
খুঁড়তে গা সওয়া হয়ে যাচ্ছে কপালেশ্বরীর সম্পর্ক
No comments:
Post a Comment