আমার
মধ্যে একটা পাখি বসে থাকে। ভোর থেকে সে ডাকতে থাকে , ওঠো ওঠো। এবার আমাকে ছেড়ে
দাও। তাকে মুক্তি দেবো না বলেছি বারবার । পোড়ারমুখো তবু উড়তে চায়। একদিন তাকে
হাতের মুঠোয় ধরলাম চেপে। ডানায় দিলাম সিগারেটের ছ্যাঁকা আর ঠোঁট ফাঁক করে খাওয়ালাম
মদ। টলতে টলতে ঘরের এককোণে মুখ গুঁজে পড়ে থাকলো। মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিলাম
শেকল তুলে।
জানালার পাশে থাকা গাছগুলোর এলোপাথাড়ি মাথা নাড়ানো। দূরে নদীর বুকে জড়ানো চাঁদের আলোয় যারা বুকে মাথা রেখে নতুন ছাদ বানাচ্ছে। যে মাঝি নৌকার গলুইতে ভাতে জল ঢেলে বসে খাচ্ছে। পথের ধারে খরগোশটা হঠাৎ দৌড়াতে গিয়ে পড়লো একটা কুকুরের মুখের কাছে, ঘাড়টা ভেঙে গেলো কী!! ওই যে মেয়েটা কে ওর জেঠু খাটের মধ্যে মুখ বেঁধে শুইয়ে রেখেছে। ঠাকুরমশাই মন্ত্র বলতে বলতে দানসামগ্রীর দিকে তাকাচ্ছেন। অতিথিকে চিড়ের ফলার দেবার সময় হাতটুকু ছুঁয়ে নিচ্ছে বাড়ির বউ।
বাবা সেদিন ঘর ঝাড় দিতে এসে দেখে এ সমস্ত ছবি এঁকে রেখেছে সে। কাগজে ভেসে উঠেছে যদি সে উড়ে যেতো তার কথা।
ম্লান হেসে একদিন সে আবার হুইস্কি চাইলো। গলায় ঢেলে বললো জানো তো আমাকে আটকে রেখে তুমিও কষ্ট পাচ্ছো। রাগে মাথা দপ দপ করছে, তুলির মাথাগুলো চেপে ধরে আটকাচ্ছি নিজেকে। সে বলে যাচ্ছে এই যে এই গাছের পাতাগুলো দিনে রাতে এই ঘুলঘুলিতে এসে পড়ছে। ওরা আমাকে ডাকছে। ওরা তো হাঁটতে পারে না। উড়ে এসে ওদের ডালে বসি। গল্প বলি দেশ বিদেশের। ধীরে ধীরে জ্ঞানী হতে হতে সত্যকারের অক্ষয় ঋষি হয়ে যায়। পাখি আর গাছেদের চিরকাল বেদব্যাস আর গণেশের সম্পর্ক। এই পার্থক্য যে আমরা বলি। গাছেরা লেখে না, বলে। কান পেতো কোনো সুপ্রাচীন বটের গুড়িতে। শুনতে পাবে ...
আমি তাকে মানা করি আমাকে ঘেঁটে দিতে। যে সমস্ত শরীর আঁকড়ে লিখতে পারছি কয়েকটা ইউজ এন্ড থ্রো কলমের কথা তা পারবো না এমন করলে। থাকতে তো হবেই এই ছয় বাই সাত ঘরে বসে। কোথায় যাবো ? গেলেই তো আর ফিরতে চাইবো না। লোকে কী বলবে ? গভীর রাতে পাখিটা মাথার কাছে গান গায়। বলে চলো আমার সঙ্গে সেই নদীটার কাছে। ওপারে সন্ধ্যারতি হবে। ঘাটে তুমি আমি বসবো। পা দিয়ে আঁক কাটবে সিঁড়িতে। " আর কী কখনো কবে , এমনো সন্ধ্যা হবে ?" ছুটতে ছুটতে ওই মাঝিদের ছেলে নৌকায় উঠতে যাবে। তার পা লাগবে তোমার পায়ে। নৌকা দূরে সরছে। তোমার কানে আসছে, ও দিদিমণি পায়ে পায়ে ভালোওওওও?
আমার ভিতরের পাখিটা বলে, উড়বি ? চল চল, এবার সব ছেড়ে বেরোই। হঠাৎ মরিয়া হয়ে নদীর জলে নামি। হ্যাঁ রে ভালোওওওওওও, পায়ে পায়ে ভালোওওওও। ভোরের পুরনো থামের খাঁজ থেকে পায়রাগুলো ঝাঁক বেঁধে আকাশে মিলিয়ে গেলো।
জানালার পাশে থাকা গাছগুলোর এলোপাথাড়ি মাথা নাড়ানো। দূরে নদীর বুকে জড়ানো চাঁদের আলোয় যারা বুকে মাথা রেখে নতুন ছাদ বানাচ্ছে। যে মাঝি নৌকার গলুইতে ভাতে জল ঢেলে বসে খাচ্ছে। পথের ধারে খরগোশটা হঠাৎ দৌড়াতে গিয়ে পড়লো একটা কুকুরের মুখের কাছে, ঘাড়টা ভেঙে গেলো কী!! ওই যে মেয়েটা কে ওর জেঠু খাটের মধ্যে মুখ বেঁধে শুইয়ে রেখেছে। ঠাকুরমশাই মন্ত্র বলতে বলতে দানসামগ্রীর দিকে তাকাচ্ছেন। অতিথিকে চিড়ের ফলার দেবার সময় হাতটুকু ছুঁয়ে নিচ্ছে বাড়ির বউ।
বাবা সেদিন ঘর ঝাড় দিতে এসে দেখে এ সমস্ত ছবি এঁকে রেখেছে সে। কাগজে ভেসে উঠেছে যদি সে উড়ে যেতো তার কথা।
ম্লান হেসে একদিন সে আবার হুইস্কি চাইলো। গলায় ঢেলে বললো জানো তো আমাকে আটকে রেখে তুমিও কষ্ট পাচ্ছো। রাগে মাথা দপ দপ করছে, তুলির মাথাগুলো চেপে ধরে আটকাচ্ছি নিজেকে। সে বলে যাচ্ছে এই যে এই গাছের পাতাগুলো দিনে রাতে এই ঘুলঘুলিতে এসে পড়ছে। ওরা আমাকে ডাকছে। ওরা তো হাঁটতে পারে না। উড়ে এসে ওদের ডালে বসি। গল্প বলি দেশ বিদেশের। ধীরে ধীরে জ্ঞানী হতে হতে সত্যকারের অক্ষয় ঋষি হয়ে যায়। পাখি আর গাছেদের চিরকাল বেদব্যাস আর গণেশের সম্পর্ক। এই পার্থক্য যে আমরা বলি। গাছেরা লেখে না, বলে। কান পেতো কোনো সুপ্রাচীন বটের গুড়িতে। শুনতে পাবে ...
আমি তাকে মানা করি আমাকে ঘেঁটে দিতে। যে সমস্ত শরীর আঁকড়ে লিখতে পারছি কয়েকটা ইউজ এন্ড থ্রো কলমের কথা তা পারবো না এমন করলে। থাকতে তো হবেই এই ছয় বাই সাত ঘরে বসে। কোথায় যাবো ? গেলেই তো আর ফিরতে চাইবো না। লোকে কী বলবে ? গভীর রাতে পাখিটা মাথার কাছে গান গায়। বলে চলো আমার সঙ্গে সেই নদীটার কাছে। ওপারে সন্ধ্যারতি হবে। ঘাটে তুমি আমি বসবো। পা দিয়ে আঁক কাটবে সিঁড়িতে। " আর কী কখনো কবে , এমনো সন্ধ্যা হবে ?" ছুটতে ছুটতে ওই মাঝিদের ছেলে নৌকায় উঠতে যাবে। তার পা লাগবে তোমার পায়ে। নৌকা দূরে সরছে। তোমার কানে আসছে, ও দিদিমণি পায়ে পায়ে ভালোওওওও?
আমার ভিতরের পাখিটা বলে, উড়বি ? চল চল, এবার সব ছেড়ে বেরোই। হঠাৎ মরিয়া হয়ে নদীর জলে নামি। হ্যাঁ রে ভালোওওওওওও, পায়ে পায়ে ভালোওওওও। ভোরের পুরনো থামের খাঁজ থেকে পায়রাগুলো ঝাঁক বেঁধে আকাশে মিলিয়ে গেলো।
No comments:
Post a Comment