Wednesday, May 29, 2019

দীপ্তেন্দু জানা-র কবিতা





"অনুক্ত "

১.
অতএব কতটা ভাঙ্গা কাচ
কতটা আর্তরব হলে কৃষ্ণচূড়া  
রেঙে ওঠে 
জানা প্রায়োজন 
কতটা রক্তভেজা হলে একখানি রুমাল জলস্পর্শী  লিরিক  হয় 
জানা প্রয়োজন 
একটি জল কতখানি হাঁস হলে তুমি নগ্ন সরস্বতী হবে 
তাও জানা প্রয়োজন
জানা প্রয়োজন, সমস্তটাই জানা প্রয়োজন 
কোন আগ্নেয়গিরি  নয়, আমার হৃদয় এক ফোড়া,তারই পাশে তুমি ঘন বসেছো নিরাময়, অভিনয়হীন 
কিন্তু দোহাই তৃষা 
জানতে  চেও না  মাংস খেতে  ভালোবাসে কিনা সবুজ হরিণ 

২.
প্রেম যেন এক সহৃদয় ভিলেন
খুন করবে ব'লে জানতে চায়
-আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন?

গর্ভে ধ'রে রেখেছিল বার্লি ও যব
ধানেও, গমেও আমি তো ছিলাম
আজ শহীদ  হওয়ার উৎসব 

৩. 
দূরত্বের হ্রদ পানীয় 
দূরত্বের খেতটি ফসল  
 দূরত্বের গাছটি ছায়া 
দূরত্বের গানটি গজল 

আমি ঈশ্বরের চোখের জল 
আমি ঈশ্বরের চোখের জল 

দূরবীনে দুচোখ রেখে 
ঠিক যতখানি ভুরু অন্ধ 
কাছের তারার কাছেই 
ঠিক ততটাই ভুরু ঋণী 

বল আমি কি প্রেমে পড়েছি? 
বল আমি কি প্রেমে পড়িনি? 

৪.
 তার ইয়ত্তা নেই 
কতবার হোঁচট খেয়ে প্রেমে পড়েছি 
তার ইয়ত্তা নেই 
মুখ থুবড়ে কতবার পড়ে গেছি প্রেমে 
সমস্ত প্রেমের চূড়ায়  তুমিই তো তৃষা 
শুধু ঢালু বেয়ে প্রজাপতি এসেছে নেমে 

৫.
লবণে তোমার ময়ূর জন্ম হয়,শুধু            হৃদয়ের আড়াল থেকে দেখি 
গজলে তোমার ডুব দেয় পানকৌটি, শুধু 
হৃদয়ের আড়াল থেকে দেখি 

তোমাকে পেয়েছি তৃষা 
তোমাকে পাইনি 

আমাদের মিলন মুহূর্তমাত্র, কিন্তু বিরহ সাবেকি 


No comments:

Post a Comment

একঝলকে

ভেঙে যাওয়ার পরে- একটি উপন্যাসের পাঠপ্রতিক্রিয়া- রিমি মুৎসুদ্দি

  ‘মৃত্যুতে শোক থাকে কিন্তু সামাজিক অপযশ থাকে না । ’ ‘ মৃত্যু ’ ‘ শোক ’ ‘ অপযশ ’- একটা গোটা উপন্যাস থেকে এই তিনটে শব্দই কেন...

পছন্দের ক্রম