Wednesday, May 29, 2019

উৎস রায় চৌধুরী-র কবিতা





অবশিষ্টাংশ

   এসবের ঘ্রাণ,
সমস্ত দাগের পুরাণ লিপি--
আলগা ঝিমিক আতর
মনের কুশ তুলছে,
টের পাই নি--
অথচ বা অথৈ জল
আমাদের ঘর বাড়ীর সোপান,
হাওয়ার মুখ ভাসান,
জীবনের স্যাবোটেজ;


একক

ঘুরে এসে দেখার যে মন্বন্তর
তার অবাক কুলুপ খুলে
তাকিয়ে থাকা,
বলার প্রতিটি নিরুত্তর
আসলে সেলেব দাখিলের 
বিয়োগ খেলা,
আনা আর নেওয়ার 
পেছন রাখা শর্ত,
কেউ না মানলেও
হতে থাকার ছোঁয়ার
মতো লেগে থাকে প্রতিদিন----
অন্যদিন------একদিন------


ক্যালাইডোস্কোপ

প্রথমান্ত পথ ঘিরে বসে আছে-----
আমার যাবার যে বিন্দু,
তার উপসর্গে আমারই শৈশব
সি হকের পাশে উড়ছে-----

আমি ধরে নামাতে চাই
আমি খেলতে চাই হাফপ্যান্ট
গলার ওপাশটায় নদীর শিরোনাম
আমার শহর হয়ে যায় কতদিন-----

আমি আর আমার পুস্পপুর
ঝুপ করে বাঁক বদলে দিই-------


নাব্যতাসুলভ

আয়েশ করে বসে আছি,
বেদনার কসমখোর আমি,
ঝিলিক দিই, নিজের মেঘলায়,
গল্প শায়রের পাশে চুমুক,
ধন্য করে আলেয়া হয়ে যায়-----

দোমলা ঘরের বাদাম ছৌ,
কেশব নন্দন হয়ে মিশছে,
আলগোছে সব ছবি,শোয়ানো,
আয়ান ঘোষের বাড়ীর মোহ
দর হেঁকে বাদল করছে মন-----


অস্তরাতের নায়ক

প্রবাহ কোনো নমুনা,
এড়িয়ে যাওয়া ঘুম,
নীচেই বসে দখল করছে-----
দাওয়াতের পাশে আলম
জোনাকির গন্ধ টের পাচ্ছো,
কেউ না পেলেও,
অশেষ সমঝোতায় মিলন
সবুর করছে বুকের বেনামীতে---
খোঁজ বললেই সব দেওয়ালি,
হারিয়ে যাবার একশা কারবার,
কলমকুচিরা জানে বিছানায় শুয়ে-------
   






No comments:

Post a Comment

একঝলকে

ভেঙে যাওয়ার পরে- একটি উপন্যাসের পাঠপ্রতিক্রিয়া- রিমি মুৎসুদ্দি

  ‘মৃত্যুতে শোক থাকে কিন্তু সামাজিক অপযশ থাকে না । ’ ‘ মৃত্যু ’ ‘ শোক ’ ‘ অপযশ ’- একটা গোটা উপন্যাস থেকে এই তিনটে শব্দই কেন...

পছন্দের ক্রম