সমুদ্রগাথা
১
সমুদ্রঢেউ এর তোড়ে তারামাছ উঠে চলে এলো
তাকে তুমি হাতে নিলে, দয়া ও
দাক্ষিণ্য দিয়ে পুনরায় জলে ঠেলে দিলে
অনাবশ্যকতা তার সোনালি রেখায় গিয়ে স্থির হয়ে গেল !
২
আছড়ে ভেঙে গেল ঢেউ এ জীবন এ প্রকার গেল। স্থিতি গেল, গতি গেল, পৌনঃপুনিকতা ভেঙে গেল। যে অতল নীল
তাতে নীলাভ আকাশ ছায়া ফ্যালে। ছায়া ফ্যালে জলভ্রম, আঁধারমানিক,
সোঁদা গান। আছড়ে ভেঙে গেল ঢেউ এই মায়া ; সান্ধ্যবিনোদন।
৩
কোনো কোনো দিন ও
রাত, সন্ধ্যে ও সকাল অথবা গোধূলি ও
গোক্ষুর আমাদের অবাঙগোচর একটা সূর্যাস্তের দিকে নিয়ে যায়। তখন ঢেউহীন জলতলে
সলিলসমাধির দীক্ষা ফুটে ওঠে। ফুটে ওঠে ওষ্ঠাধর, প্রতিকৃতি,
নিকষ,নরম, প্রসন্নতা
এবং তুলতুলে মায়া। ঘরে ফেরা যদি না থাকে। যদি না থাকে চকিত মুগ্ধতা। যদি নিজের
ভেতরের লাবডুব লাবডুব শব্দে গেঁথে রেখে দেওয়া নোঙর, সান্ধ্যকালীন
মোহ আর যৌথ বিরুদ্ধতা তার অভ্যন্তরীণ নিয়মের বিরুদ্ধেই কথা বলে তবে তুমি কম্পহীন,
অশ্রুহীন, ঘাম ও গালিয়াথহীন একটি উদাসীন
ভোরবেলা হয়ে উঠেছ। তোমার ঔদাসিন্য, তোমার মৃত্তিকালগ্ন
আকুল ঢেউতট সলিলসমাধির দীক্ষায় নিদারুণ প্রতিকৃত হয়েছে।
শুভমের চমৎকার নতুন ভঙ্গিমার লেখা ।আমার একজন প্রিয় তরুণ কবির কাছ থেকে এমন লেখাই প্রত্যাশিত ।
ReplyDelete